মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

কলিম খান লিখিত : সুবিমল বসাক, এক সুন্দর মানুষের কথা

"তোমার সঙ্গে যারা থাকে, তোমার বাবা মা জেঠা জেঠিমা কাকিমা মাসি পিসি ঠাকুরদা ঠাকুরমা ধাইমা দাদা দিদি বৌদি....এদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি সুন্দর ?" --- এ প্রশ্ন যৌথ পরিবারে বাস করে এমন বাংলাভাষী শিশু-কিশোরীকে ( যাদের বয়স সাত-আট বছরের কম ) জিজ্ঞেস করলে বেশ অদ্ভুত উত্তর পাওয়া যায়। দেখা যায়, যাকে সে সবচেয়ে বেশি সুন্দর বা সুন্দরী বলে ঘোষণা করছে, অনেক ক্ষেত্রেই তার রূপলাবণ্য দৃষ্টিনন্দন বা বিউটিফুল নয়; অথচ তাকেই সে সুন্দর বা সুন্দরী বলছে ! তার মানে সুন্দর বলতে তারা রূপবান-রূপবতী বা বিউটিফুল বোঝে না, অন্য কিছু বোঝে।
বিষয়টি নিয়ে একটু এগোলে দেখা যায়, শিশু-কিশোরটি যাকে সুন্দর বা সুন্দরী বলছে, তার রূপ দৃষ্টিনন্দন বা দৃষ্টিকটু যাই হোক, সে আসলে শিশুটিকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। তার মানে, বাংলাভাষী শিশুদের ভাষাজ্ঞান অনুসারে যে ব্যক্তি তাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে, সে-ই সুন্দর বা সুন্দরী! এই লেখকও তার শৈশবে তার ঠাকুমাকেই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মহিলা বলে জানত। এমনও দেখা গেছে, পরিবারের সকলের অবহেলার মাঝে এক অতি কুরূপা দাসীর নিত্য পরিচর্যায় বড় হয়ে ওঠা শিশু তার সেই কুরূপা দাসীকেই 'সুন্দরী' বলে ঘোষণা করছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় অনেকেই এই প্রকার সত্যের সন্মুখীন হয়ে থাকবেন। তার মানে, যাদের প্রতি শিশু-কিশোরদের ভালবাসা উৎসারিত হয়, তাদেরই তারা বিউটিফুল দেখে। সেক্ষেত্রে মানতেই হবে যে, মানুষের মনের রঙেই পান্না সবুজ হয় -- এই রবি-বাক্য এক্ষেত্রেও সক্রিয় রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আরও একটু এগোলে আর-এক সত্যের সন্ধান মেলে দেখা যায়, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে, পুরাণাদি গ্রন্থে, গ্রামবাংলার মানুষের মুখের ভাষায় সুন্দর শব্দটি সাধারণভাবে বিউটিফুল অর্থে ব্যবহৃত হয়নি, হয় না। হয় না যে, তার অজস্র প্রমাণ চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। 'সুন্দর কথা', সুন্দর গান'... এসব তো আমরা বলি, এমনকি বঙ্গীয় শব্দকোষ রচয়িতা শ্রী হরিচরণ
বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ও জানাচ্ছেন যে--- কর্পূরমঞ্জরী গ্রন্থে একটি পদে রয়েছে 'সুন্দর শব্দাবলী': বিদ্যাসুন্দর গ্রন্হে রয়েছে 'সুন্দর নাম': বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্হাবলীতে রয়েছে 'সুন্দর স্পর্শ', 'পরিতে সুন্দর', ঘ্রাণে সুন্দর'... ইত্যাদি। ইংরেজি ভাষাজ্ঞানীরা জানেন, ইংরেজিতে Beautiful words, beautiful name, beautiful to wear, beautiful to smell... এরকম শব্দবন্ধ রীতিসম্মত নয়। কিন্তু বাংলায় দেখা যাচ্ছে সেরকম শব্দবন্ধ কেবল তৈরিই করা যায় না, হয়ে থাকে, হয়ে আসছে বহুকাল ধরে। তার মানে বাংলা ভাষায় সুন্দর বা সুন্দরী শব্দের মানে শুধুমাত্র বিউটিফুল নয়, আরও অনেক কিছু। প্রশ্ন হল কী সেই 
মানে ?
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ-এর কাজ করতে গিয়ে 'সুন্দর শব্দের সেই অর্থটি আমার চোখে পড়ে যায়। দেখি, 'সমুদ্র'এর মতো 'সুন্দর' শব্দটিরও জন্ম হয়েছে 'উন্দ' ক্রিয়ামূলের শব্দপরিবারে। [সু+/উন্দ+অর--কতৃবাচ্যে। উন্দএর মানে হল 'নিজের উচ্চতাকে কমিয়ে অন্যের সমান বা সমান্তরাল করা' বা 'সামঞ্জস্য বিধান করা' ( উ=উদগতি; ন= না-করণ; দ= পারিপার্শ্বিককে দান )। এই ক্রিয়া থেকে জাত ইঁদুর, ওল, সমুদ্র, সুন্দর, সুন্দরী, সৌন্দয্য প্রভৃতি কুড়িটি শব্দ নিয়ে গড়ে উঠেছে উন্দ-এর নিজস্ব শব্দপরিবার। সমস্ত প্রাচীন বাংলা অভিধান এই সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। ইংরেজি wound শব্দটি এই পরিবারেরই সন্তান।] সেই সুবাদে সুন্দর শব্দটির ক্রিয়াভিত্তিক অর্থ হল -- 'সু-উন-দানের অস্তিত্ব রহে যাহাতে' । অর্থাৎ আপন শক্তির জোরে উপরে ওঠা গেলেও, উপরে ওঠাকে কমিয়ে পারিপার্শ্বিক সত্তাদের সেই শক্তি খুব ভালভাবে দান করে যে, সেই হল সুন্দর। তার মানে সুন্দর সে-ই, যে সর্বদা পারিপার্শ্বিকের সমান হওয়ার চেষ্টা চালায়, আপন উন্নয়ন থামিয়ে পরিপার্শ্বের উন্নয়নে যত্নবান হয়; যে যথার্থে সামঞ্জস্যমূলক সমানতায় বিশ্বাসী যথার্থ সাম্যবাদী; যে সক্রিয়ভাবে সমোচ্চশীলতার নীতি অনুসরণ করে থাকে। জল সমোচ্চশীল বলেই তার মহা আধারটি 'সমুদ্র' পদবাচ্য, যে 'সমুদ্র' শব্দটি একই উন্দ ক্রিয়া থেকে জাত হয়েছে। এই সেই কারণ, যেকারণে পুরাণাদি গ্রন্থে জনসাধারণ বোঝাতে 'জল' শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে। মোট কথা, 'সুন্দর' শব্দের প্রকৃত অর্থ হল ( পরিপার্শ্বের সঙ্গে ) সুসামঞ্জস্য সাধন করে যে ।
বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ ছেড়ে সামাজিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যায়, সুন্দরী (সু-উন্দ-র-ঈ) সেই নারী, যিনি তাঁর চারপাশের মানুষের মনকে আর্দ্র করে আপন সমানতার বোধ দান করেন। তার মানর আমার মা/মাসিমা/জ্যাঠাইমা/ঠাকুমা/দিদিমারা যেমন আমাদের মনের আশ্রয় হয়ে ওঠেন, মনে হয় যেন তাঁর কাছে গিয়ে নিশ্চিন্তে সব কথা বলা যায়, তিনি আমাদের মনকে আর্দ্র করে দেন, তিনি আমাদের সমান এই বোধ দান করেন, সেই জন্যই তাঁরা সুন্দরী। বাংলাভাষী বহু মা-মাসিমাকে দেখা যায় রিকশয় উঠে, তাঁর সঙ্গে রিকশাওলার উচ্চনীচ অবস্হানের ভেদ অমান্য করে, তিনি রিকশওলার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন এবং অচিরে রিকশওলার পরিবারের সঙ্গে আপন পরিবারের সুখদুঃখের কথার লেনদেন করে থাকেন। যে-নর বা নারী তাঁর পারিপার্শ্বিকের প্রত্যেকটি সত্তার কাছে এই রকম 'আপনার সমান জন' বা আপনার জন হয়ে ওঠেন, সর্বতোভাবে নির্ভরযোগ্য এবং পারিপার্শিকের আত্মার সমান বলে প্রতীয়মান হন, তাঁরা প্রত্যেকেই সুন্দর বা সুন্দরী। বাংলাভাষা সেরকম সত্তাকেই 'সুন্দর' বা 'সুন্দরী' নাম দিয়েছে। অর্থাৎ সুন্দর বা সুন্দরী শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ হল, 'যিনি সবচেয়ে ভালভাবে পারিপার্শ্বিক সত্তাদের সঙ্গে আপন সামঞ্জস্যসাধন করেন', নিজেকে কখনই বিশেষ, স্পেশাল, আলাদা, বিচ্ছিন্ন, স্বতন্ত্র বলে মনে করেন না, বা তদ্রূপ অভিমান নিয়ে থাকেন না । অর্থাৎ, 'সুন্দর' সত্তার অন্যের সঙ্গে সমান হওয়ার প্রবণতা থাকে, কখনই স্বাতন্ত্র্যের স্বাভিমান থাকে না।
তবে সামঞ্জস্যমূলক সত্তা মাত্রেই দেখতেও বিউটিফুল হয়, কিংবা বিপরীতভাবে বললে, বিউটিফুল সত্তা মাত্রেই আসলে তার ভিতরে কোনো না কোনো প্রকার সামঞ্জস্য বিধান করে রাখা থাকে; তাই সে দেখতে বিউটিফুল হয়।বাহ্যপ্রকৃতির সৃষ্টি থেকে শুরু করে মানুষের হাতে সৃষ্ট শিল্প, সাহিত্য, ভাস্কর্য, নৃত্য, গীত, বিজ্ঞান, রন্ধন এমনকি বস্ত্র-পরিধানের কলাকৌশল পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই একথা সর্বৈব সত্য ।ব্যাপারটি আমি আমার 'সাম্য থেকে সামঞ্জস্যে: সুন্দরসমাজ' নিবন্ধে ( যা প্রকাশিত হয়েছে 'অপর' পত্রিকার সপ্তদশ সংখ্যায়) বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছি। এখানে তার পুনরাবৃত্তি অবান্তর। এখানে
কেবল সামাজিক সম্পর্কের সেই কথায় আমি যাব, 
যার থেকে বোঝা যায়, সুন্দর মানুষ বলতে ঠিক কী বোঝায়।
উপরোক্ত তথ্য অনুসারে সেই মানুষই সুন্দর মানুষ, যিনি তাঁর চার পাশের মানুষকে আপনার সমানতার বোধ দান করেন; যাঁর সংস্পর্শে এলে বুঝতে অসুবিধে হয় না, তাঁর সঙ্গে আমার উচ্চনীচ ভেদ নেই, যিনি ও আমি সমান। অন্য মানুষের জ্ঞানসম্পদ, ধনসম্পদ, বয়স কোনো কিছুই সেই মানুষের ব্যবহারে দাগ কাটে না। তাঁর বিচারে সব মানুষের আত্মাই সমান, তিনি নিজে সেই আত্মার সমতলে বিরাজ করেন এবং প্রত্যেকের সঙ্গে সেই আত্মার সমতলে বিরাজ করে অনুরূপ ব্যবহারই করে থাকেন। কারও সঙ্গেই যেন তাঁর কোনো ভেদ বা স্বাতন্ত্র্য নেই। এমনই এক মানুষ শ্রী সুবিমল বসাক। তাঁর স্বভাব প্রথম আলাপের পর থেকেই জানতাম। কিন্তু সেই স্বভাবের নাম কী হবে জানতাম না। 'বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ'-এর কাজ করতে গিয়ে 'সুন্দর' শব্দের মানে বুঝতে পারার পর এই রকম স্বভাবের সব মানুষকেই আমি 'সুন্দর মানুষ' বলে চিহ্ণিত করতে পেরেছি।
আধুনিকতাবাদী, অ্যাকাডেমিশিয়ান, প্রগতিপন্হি, কমিউনিস্ট-সাম্যবাদী, মৌলবাদী, হাংরি, উগ্রপন্হী... বহু রকম মানুষই আমরা চারিদিকে দেখতে পাই; এবং তাঁদের নেতৃস্হানীয়রা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত স্বাতন্ত্র্যাভিমানী।স্বাতন্ত্র্যের অভিমানের মধ্যে সকলের থাকে বিশেষ হওয়ার, পৃথক হওয়ার প্রবণতা থাকে। তথাকথিত সাম্যবাদীদের মধ্যে তো স্বাতন্ত্র্যের অভিমান সবচেয়ে বেশি, যদিও স্বাতন্ত্র্য সাধারণভাবে বিশেষবাদী বা অসাম্যবাদী। বিপরীতে দেখা যায়, গ্রামবাংলার মানুষের মধ্যে, তথাকথিত ধর্মভিরু সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের অভিমান সবচেয়ে কম। তাঁদের ভিতরে সকলের থেকে পৃথক বা আলাদা হয়ে থাকার কোনো প্রবণতা দেখা যায় না, বিপরীতে মিলে-জুলে থাকার প্রবণতা দেখা যায়। বাংলা ভাষার শব্দার্থতত্বের বিচারে এরকম মানুষদেরই 'সুন্দর' মানুষ বলতে হয়। সেই হিসেবে শ্রী সুবিমল বসাকও সুন্দর মানুষ।
১৯৯৬ সালে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। বিগতকালের হাংরি আন্দোলনের এক বিদগ্ধ আত্মারূপেই আমি তাঁকে চিনেছিলাম। একালের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যাবাদী সমাজে সকল সামাজিক সত্তার ও প্রতিষ্ঠানাদির যেমন কেন্দ্র ও প্রান্ত হয়ে থাকে, হাংরি আন্দোলনেও সেইরূপ কেন্দ্র-প্রান্ত ব্যাপার ছিল। কেন্দ্রে যখন মলয় রায়চৌধুরী সগৌরবে বিরাজিত ছিলেন, তখন প্রান্তে ছিলেন সুবিমল বসাক। কালধর্ম তাঁকে যে-কলঙ্ক বা গৌরব দিয়েছিল, তা সবই তখন মলিন হয়ে এসেছিল। তাঁর স্বভাবের মধ্যে সেসবের রং-রূপ, তেজ-ছটা আমার চোখে খুব একটা পড়েনি। যেটি পড়েছিল, তা হল তাঁর নিষ্কলুষ আত্মার দীপ্তি। প্রথম আলাপেই বুঝেছিলাম, এই মানুষটির সঙ্গে নির্বিবাদে ঘর করা চলে।
কলকাতার বাংলা সাহিত্যের জগতে আমার অনুপ্রবেশ ঘটে ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৭-৯৮ সালের মধ্যেই আমি টের পেয়ে যাই, এই জগৎ অত্যন্ত কলুষিত হয়ে গেছে। ভাল সাহিত্যিক তো পরের ব্যাপার, আগে তো ভাল মানুষের সাক্ষাৎ পেতে হবে। এখানে যে ভাল মানুষের দেখা মেলা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে! কার্যত আজকের কলকাতায় বঙ্গসাহিত্যের সারস্বত ব্রহ্মলোকে ভালমানুষের দেখা পাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। যাঁরা মানিষ হিসেবেই কলুষিত, তাঁরা ভাল সাহিত্যিক হবেন, এমন আশা করা খুবই ত্রুটিপূর্ণ এবং দুরাশা মাত্র। তারই মাঝে যে আমি দু'চারজনকে ভালো মানুষ রূপে পাই, তাঁদেরই একজন শ্রী সুবিমল বসাক। ২০০০ সাল থেকে আমি সেমিনার, সাহিত্যসভা ইত্যাদিতে যাতায়াত বন্ধ করে দিই এবং অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়ে একান্তে নিজের কাজ করতে থাকি। সেই একান্ত সময়েও যাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কমবেশি অক্ষুণ্ণ থাকে, শ্রী সুবিমল বসাক তাঁদের একজন। তাঁর সান্নিধ্য আমার খুবই ভাল লাগত। তাঁর ভালমানিষির গন্ধ মনেপ্রাণে মাখামাখি হয়ে যেত। মনে পড়ত সৈয়দ মুজতবা আলীর সেই অমোঘ বাণী --- 'কয়লাওলার সাথে দোস্তি, ময়লা হতে রেহাই নাই/ আতরওলার বাক্স বন্ধ, দিল খুশ তবু পাই খুশবাই।' শ্রী সুবিমল বসাকের সাহিত্যসৃষ্টি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কেননা, তাঁর সাহিত্য আমার মস্তিষ্কের স্বভাবের সঙ্গে খাপ খায়নি বলে তা আমার উপভোগ্য হয়নি। অতএব, যা আমি ভাল করে উপভোগ করিনি, তা রসাল ও সুস্বাদু কি না, বলদায়ক কি না, উপাদেয় কি না, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে আমি পারব না। কিন্তু মানুষটি যে আমার খুবই আপনজন রূপে গৃহীত হয়েছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তাঁকে আমি 'সুন্দর মানুষ' বলেই চিনেছিলাম, চিনেছি, ভালবেসেছি।


ছিটেফোঁটা পত্রিকার বইমেলা ২০১০ সুবিমল বসাক সম্বর্ধনা সংখ্যা থেকে পুনঃপ্রকাশিত



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন